রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রাজবাড়ী জেলায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনায় যুবলীগের কমিটি গোয়ালন্দে মহাসড়কের পাশে বন বিভাগের ৫৪১টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা রাজবাড়ীতে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত রাজবাড়ী থিয়েটারের আয়োজনে চার দিনব্যাপী নাট্যোৎসব শুরু রাজবাড়ী কালেক্টরেটের পক্ষ থেকে এডিসি মাহাবুর রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান রাজবাড়ী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এডিসিকে বিদায় সংবর্ধনা পাংশায় অস্ত্র মামলায় গ্রেফতারকৃত কৃষক লীগ নেতা হেনা মুন্সী শ্রীঘরে পাংশায় নিপা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা পাংশায় ইটভাটার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সোয়া তিন ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ

অষ্টাদশ সংখ্যা চন্দনা এবং আমার মূল্যায়ন -সরদার জাহাঙ্গীর আলম বাবলু

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩, ১.০৮ এএম
  • ৭২ বার পঠিত

চোখে পড়ার মতো মনোমুগ্ধকরভাবে প্রকাশিত হয়েছে ঢাকাস্থ পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতির অষ্টাদশ সংখ্যা চন্দনা। কভার পাতায় নজর দিলেই চন্দনা ২০২২ এবং সমিতির লোগো দৃষ্টিকাড়বে সকলের নিঃসন্দেহে বলা যায়। কভার পাতা থেকে শুরু করে শেষ পাতা পর্যন্ত আমার দেখা ও পড়ার সুযোগ হয়েছে। দেখা ও পড়ার দৃষ্টিকোণ থেকেই আমার অষ্টাদশ সংখ্যা চন্দনা এবং আমার মূল্যায়ন লেখাটি লেখার প্রয়াস।
প্রথম পাতায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবির নিচে “মরণসাগরপারে তোমরা অমর, তোমাদের স্মরি” এর পরের পাতায় চমক দেখতে পাই উৎসর্গ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিনম্র শ্রদ্ধা। আবেগে আপ্লুত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাতে ইচ্ছে হলো- সম্পাদনা উপদেষ্টা জনাব খোন্দকার মোঃ আসাদুজ্জামান, সম্পাদনা পরিষদের ড. মোহাঃ নিহাল উদ্দিন, মোঃ হাবিবুর রহমান, সত্য রঞ্জন মন্ডল, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল, মোঃ মঞ্জুর কাদীর, মোঃ তুহিনুর রহমানদের মতো জ্ঞানী-গুনীদের।
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সভাপতি, স্মরণিকা উপ-কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিবের শুভেচ্ছা এবং সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য কথার পরেই বিস্মৃত নয়নে দেখতে পাই “সশ্রদ্ধ স্মরণ” শিরোনামে স্থান পেয়েছে, সর্বজনাব প্রকৌশলী এ কে এম রফিকউদ্দিন, মোতাহার হোসেন, প্রফেসর ড. কে এম মোহসীন, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, প্রকৌশলী এ কে এম নাসিরউদ্দিন, কাজী আলী আজম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, আজিজুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন (অব.) কাজী খালেদ বিন আহমদ। আমাদের মতো নতুন প্রজন্ম কিছুটা হলেও জানতে পারবে পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতিতে তাঁদের অবদান, কর্মময় জীবন, শিক্ষার উন্নয়ন এবং এলাকার মানুষের প্রতি তাঁদের আচার-আচরণ, দায়িত্ব-কর্তব্য প্রভৃতি।
সমিতির উপদেষ্টা পরিষদ, পৃষ্ঠপোষক, অষ্টাদশ কার্যনির্বাহী পরিষদ পরিচিতি, স্বর্ণপদক প্রদানকারী ও প্রাপ্ত কারীদের নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, প্রধান নদ-নদী, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, পত্র-পত্রিকার নাম এর পরেই স্মরণিকাটিতে প্রথম বারের মতো স্থান পেয়েছে সমিতির আজীবন সদস্যদের মধ্যে থেকে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের নাম ও ঠিকানা। এটিও একটি আবেগের জায়গা তৈরী হয়েছে বলেই মনে হয়।
মোহাম্মদ আবু হেনা সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর লেখা “আমার বাল্যকাল: আব্বা ও আমি” শিরোনাম দিয়েই শুরু হয়েছে ‘চন্দনা’র গল্প। নিজের এবং বাবার স্মৃতি টানতে টানতেই চলে এসেছে এলাকার বিভিন্ন মানুষের নাম, উঠে এসেছে জীবন, সমাজ, দেশ,জাতি। তিনি গ্রীক নাট্যকার সফোক্লিস এর উদ্বৃতি দিয়েছেন, “একটি দিনের আলোর যে কি অপরূপ মহিমা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা না করলে তা উপলব্ধি করা যায় না”। জীবনের উদ্দেশ্য ও অর্থ অন্বেষণ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন,“জীবনের ঐশ্বর্য-অর্থ, বিত্ত, বৈভব, প্রতিপত্তি নয়, আসল ঐশ্বর্য জ্ঞানান্বেষণ, সত্যের সন্ধান, আত্বোপলব্ধি, জীবন জিজ্ঞাসা, কর্ম, সংবেদনশীলতা, অপরের কল্যাণ চিন্তায় ও মঙ্গল বিধানের মধ্যে”। আমার মনে হয়েছে এই এক লাইনের যে শিক্ষা পেলাম, সেটা যদি কেউ গ্রহণ করে আর কোন কিছুর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তিনি কর্মের সাধনা, মানবপ্রীতি, হক্কুল এবাদ, মানবিকবাদের কথা উলেখ করেছেন। শেষের দিকে লিখেছেন, সকল সঞ্চয় পরিশেষে ক্ষয় পায়, উন্নতির অন্তে পতন হয়, মিলনের অন্তে বিচ্ছেদ হয়, জীবনের অন্তে মরণ হয়। আমারও মনে হয়েছে সত্যিতো তাই।
এবারই প্রথম বারের মতো চন্দনায় স্থান পেয়েছে (পাংশা-কালুখালী উপজেলার বাহিরের) বাংলাদেশের তিনজন বিশিষ্ট লেখকের লেখা।
এদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এর “বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও বাংলাদেশ” শিরোনামে লেখাটি পড়লে বুঝা যায় কত মর্মান্তিক শোকের দহন। ইতিহাস নির্ভর লেখাটি অনবদ্য বলে মনে হয়েছে।
বিশিষ্ট নাট্যকার মমতাজউদদীন আহমদ “রক্তস্নাত অবিস্মরণীয় ভাষণ” গল্পে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের আলোকে হলেও বঙ্গবন্ধুর আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার চমকপ্রদ। প্রসঙ্গক্রমে ডিমোন্থেনেস, এডমন্ড বার্ক, আব্রাহাম লিংকন, বাগ্মী এডওয়ার্ড এভারেটসহ অনেকের ভাষণের দিকগুলো নিয়ে এসেছেন।
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক এর গল্পের শিরোনাম “বঙ্গবন্ধুর অন্য গুণ” লেখায় লেখক বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন মাত্রায় সাজিয়েছেন। যেমন- গায়ক বঙ্গবন্ধু, পাঠক বঙ্গবন্ধু, খেলোয়ার বঙ্গবন্ধু, প্রকৃতি ও প্রাণীপ্রেমিক বঙ্গবন্ধ, সুন্দরবন নিয়ে বঙ্গবন্ধু, পিতা-মাতার প্রতি ভালোবাসা, বাবুর্চি মুজিব, রসিক বঙ্গবন্ধু, এবং রেণু, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। তাঁর লেখায় বঙ্গবন্ধুর গুনাবলী স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়।
অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম এর “আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে” গল্পটি খুব মজা নিয়ে পড়তে পড়তে শেষ অংশে রামচন্দ্রের লঙ্কা অভিযানের কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়েও আমাদের জন্য শিক্ষানীয় বিষয়টি লিখেছেন এভাবে “ছোট হোক বড় হোক যে কোন সংগঠন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে সবার এখতিয়ার, দায়দায়িত্ব প্রাপ্তি ও স্বীকৃতির মধ্যে যৌক্তিক ভারসাম্য প্রয়োজন। তাহলেই সবার মধ্যে কর্তব্যনিষ্ঠা জাগ্রত করা সম্ভব হয়। নইলে দেখা যায় অসন্তোষ, মনোকষ্ট ও সমন্বয়হীনতা।” লেখকের লেখায়, সন্তানের কথা, বাবার কথা, শিক্ষকের কথা, পেটের ব্যথায় ভুগা রুগির শিক্ষার কথা, জ্যামিতি শিখার কথা, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ইউনিফর্ম প্রচলনের কথা, কোন প্রতিষ্ঠানকে কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা সামান্য হলেও বড় শিক্ষা দিয়ে যায় বৈকি!
কবি, শিশুসাহিত্যিক, শিশুসংগঠক স.ম. শামসুল আলম “প্রিয় নদী চন্দনা” শিরোনামে গল্পটি চন্দনার একটি স্বরূপ উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি একজন লেখক তাই ঘুরে ফিরে তাঁর বিভিন্ন লেখায় চন্দনা নদীকে পাই ভিন্ন মাত্রায়। লেখকের গল্প, কবিতায় কিংবা ছড়ায় চন্দনা নদী এসেছে বার বার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরেট গ্রাম্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন-‘নাই’তে যেতাম বন্ধু নিয়ে পুকুর কিংবা চন্দনায়, ‘ছুট’ খেলানোর স্মৃতিগুলোও আছে মনের বন্দনায়। এখন ঘরের ভিতর ‘নাই’ তবু পানির অভাব হয়, ‘ট্যাপ’ ব্যবহার করেই বুঝি ঢাকার মানুষ নবাব হয়। লেখক গল্পটিতে আবার মনটা বিষন্ন হওয়ার কথাও বলেছেন এভাবে- প্রিয় নদী চন্দনা তুই আগের মতো যাসনে কেন বয়ে? অনেক অনেক দূরে? এমন করেই শুকিয়ে গেলি! চন্দনা নদীর ইতিহাসও আছে লেখাটিতে।
সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল মালেক মিয়া লিখেছেন,“ ১৫ আগস্ট: নেতা বঙ্গবন্ধু ও শাসক শেখ মুজিব” শিরোনামে। তিনি জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড, বঙ্গবন্ধু নেতা হিসেবে কেমন ছিলেন, শাসক হিসেবে কেমন ছিলেন তার প্রতিচ্ছবি তুলে এনছেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণ এবং ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ইউনেস্কোর “মোমোরী অব দ্য ওয়ার্ল্ড ” এর সভায় ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকাভা ভাষণটিকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম দলিল” হিসেবে স্বীকৃতি দানের কথা উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. এম. এ মাজেদ “মহৎ ব্যক্তিদের সাথে আমার স্মৃতিময় মুহূর্তে” গল্পে তাঁর স্মৃতিময়ে টেনে এনেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নায়করাজ রাজ্জাক ও নায়ক আজিম।
সাবেক যুগ্মসচিব মোঃ শওকত আকবর লিখেছেন “ টুংগীপাড়ার দিনগুলো”। টুংগীপাড়া উপজেলায় নির্বাহী অফিসার পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতের ইচ্ছে সফল হওয়া, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে সপরিবারে সাক্ষাত, টুংগীপাড়ার উন্নয়নে তার অবদান আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।
অধ্যক্ষ (অবঃ) ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরী স্কুল ও কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মোঃ হাবিবুর রহমান “প্রাত্যহিক জীবনে কার্বনের যৌগ” শিরোনামে লিখেছেন। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র না হওয়ায় কার্বনের যৌগ সম্পর্কে আমার প্রাথমিক কোন ধারণাই ছিলনা। কিন্তু লেখকের লেখনীতে কার্বনের যৌগ যে এত কিছু সৃষ্টি করতে পারে গল্পটি না পড়লে হয়তো আজীবন অজানাই থেকে যেত।
বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোহাঃ নিহাল উদ্দিন “প্রফেসর ড. কে এম মোহসীন স্মরণে দুটি কথা” শিরোনাম দিয়ে বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় শিক্ষক এবং ইতিহাসবিদ মোহসীন স্যারকে নিয়ে লেখকের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, পরামর্শ প্রভৃতির একটি চমৎকার নাটক সাজিয়েছেন। কৃত্তিমান পূরুষ প্রফেসর ড. কে এম মোহসীন এর জন্ম, কর্মময় জীবন, সামাজিক জীবন অন্যান্য বিষয়ের বিভিন্ন দিক লেখক তুলে এনেছেন সংক্ষিপ্তকারে।
অতিরিক্ত সচিব সত্য রঞ্জল মন্ডল গল্পের শিরোনাম দিয়েছেন, “স্মৃতিতে ভাস্বর মহান মুক্তিযুদ্ধ”। গল্পটিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রাম বাংলার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা এখন ভুলেই গেছি গরু দিয়ে আখ মাড়ায়ের দৃশ্য, কিন্তু লেখক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতে গিয়েও গরু দিয়ে আখ মাড়াইয়ের দৃশ্য, রেল লাইনের পথের কথা মনে করে দিয়েছেন। ঐসময়ে মানুষ কী করেছে সেটিতো গল্পতেই দৃশ্যমান।
প্রভাষক জামিল ফোরকান “আমার আনন্দ-বেদনার কথা” শিরোনামে লেখাটি আনন্দ বেদনার এক অপূর্ব শব্দের বিন্যাস ঘটিয়েছেন। লেখকের স্কুল জীবনের স্মৃতি টেনে এনে একজন আদর্শ শিক্ষকের যথাযথ মূল্যায়ন আমাকে বিমোহিত করেছে। শেষ কথা “ মনে করো শান্তি নিকেতনে বসে আছি’-‘বিনয় হলো সব বিদ্যার ভূষণ’।
রহমাতুননেছা শিক্ষা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ জাহিদুর ইসলাম “সামাজিক নিরাপত্তা ও পরিবারের বয়স্ক/প্রবীণদের প্রতি দায়বদ্ধতা” শিরোনামে লেখাটি বেশ তাৎপর্য বহন করে। ভেঙে পড়া পরিবারের বন্ধন অটুট রাখার করণীয় নিয়েই বিভিন্ন দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়।
কুষ্টিয়া সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ইন্সট্রাক্টর রিজাউল করিম মিন্টুর গল্পের শিরোনাম “রূপ-নারানের কূলে”। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা, শেখ ফজলুল করিমের কবিতা, সূরা ফাতিহার মর্মবাণী ব্যাখ্যা দিয়ে শুরু করলেও, তাঁর গল্পে বই পড়ার গুরুত্বারোপ কতটা স্পষ্ট তা লক্ষ্য করা যায়। সহকর্মীর মেয়ের বই পড়া বন্ধ করার জন্য লেখকের কাছে এসেছিলেন সে গল্পটি আমাদের শিক্ষা দেয়, বই পড়লেই কেউ পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করেনা বরং ভালো করে। লেখকের নিজের জীবনের বিভিন্ন অজ্ঞিতার পাশাপাশি সুন্দর-স্বার্থক জীবন গঠনের প্রয়োজনীয় দিক উল্লেখ করেছেন।
খান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (নকীব) “লিলিয়ান” শিরোনামে গল্প লিখেছেন। গল্পটির নায়িকা লিলিয়ন, তাকে নিয়েই ফুটে উঠেছে প্রেমের সফলতা ব্যর্থতার কাহিনী।
ব্যাংক কর্মকর্তা ও লেখক কায়ছার আলী “অফিস পথে যাত্রা বাসে” শিরোনামে গল্পটি লিখেছেন। ঢাকার শহরে বাসে চড়ে যেসব অফিস গামী যাত্রীরা যাতায়াত করেন তাদের একটি বাস্তব চিত্র তুলে এনেছেন। পর্যায়ক্রমে বাসে চলতে চলতে যেসব ঘটনার উদয় হয় তার একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
মহাপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও কবি রাম চন্দ্র দাস এর একটি কবিতা স্থান পেয়েছে “আসতেই হবে” শিরোনামে। কবির চাওয়াটা সত্যি অপূর্ব লেগেছে আমার কাছে। কবিতার কাছে, গানের কাছে, শুদ্ধ সংস্কৃতির কাছে, আসতেই হবে এই শীতল ছায়া তলে, আসতেই হবে আসতেই হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আইয়ুব আলী “করোনা ভাইরাস, সুরাইয়া বেগম “ক্ষণজন্মা খোকা” মোঃ তুহিনুর রহমান “প্রণয় প্রলাপ” শিরোনামের কবিতাগুলো স্থান পেয়েছে চন্দনায়।
পরিশেষে, আজীবন সদস্যদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, বৃত্তি দাতাদের নাম এবং পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি বলে দেয় এবারের “চন্দনা’ই সেরা।

লেখক ঃ কার্য নির্বাহী সদস্য, পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতি, ঢাকা ও সরকারী কর্মকর্তা।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved  2019 Rajbarisangbad
Theme Developed BY ThemesBazar.Com