॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশের আলোকে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করার জন্য রাজবাড়ী শহরের ডাঃ আবুল হোসেন কলেজের গভর্ণিং বডি’র সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ৪জনকে আজ ৯ই সেপ্টেম্বর লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
আগামী ১১ই সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত রয়েছে।
আজ ৯ই সেপ্টেম্বর কলেজের এমপিওভুক্ত প্রভাষক খন্দকার ফারুক আহমেদ রাজবাড়ী জজ কোর্টের আইনজীবী বাসুদেব প্রামানিকের মাধ্যমে গভর্ণিং বডি’র সভাপতি(জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান) ফকীর আব্দুল জব্বার, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও গভর্নিং বডি’র বিদ্যোৎসাহী সদস্য(সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান) এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য এটিএম রফিক উদ্দিন এবং কলেজের নিয়োগকালীন ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব মোঃ আতিয়ার রহমানকে এই লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন।
লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনারা কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদ শূন্য হওয়ায় ইং ২১/০৩/২০২০ তারিখে ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ সরকারী নিয়োগ বিধির পরিপন্থী। যার কারণে আপনাদের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল(নোটিশ দাতা) রাজবাড়ী সদর সহকারী জজ আদালতে দেঃ ৭৫/২০ নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত মোকদ্দমা দায়েরের প্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্থগিত হয় এবং পরবর্তীতে পুনরায় অনিয়ম হবে না মর্মে আলোচনা সাপেক্ষে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পরবর্তীতে আপনারা সিনিয়রিটি লঙ্ঘন উপেক্ষা করে কলেজের এমপিওভুক্ত ১৬নং শিক্ষককে নিয়োগকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এতে সরকারী বিধি-বিধান ও মামলা তুলে নেয়ার শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১১/০৯/২০২১ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনকারী প্রার্থী চৌধুরী আহসানুল করিম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানসহ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মহাপরিচালকের প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ, রাজবাড়ী সরকারী কলেজ)কে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। যার স্মারক নং-৩৭.০২.০০০০.১০৫.১২.০০৮.২০.৫০৫। সেহেতু মামলা তুলে নেয়ার শর্ত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্থগিত রাখবেন। অন্যথায় আমার মক্কেল আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।