॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে দৌলতদিয়ার ৩ ও ৭নং ফেরী ঘাটের র্যাম ডুবে গেছে।
এতে করে ঐ ঘাট দুটি দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নদীতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র স্রোত। স্রোতের কারণে ফেরী চলাচলও কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
গোয়ালন্দ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার ইদ্রিস আলী মোল্লা জানান, পদ্মা নদীতে হঠাৎ করে প্রচুর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ গত সোমবার এ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল মাত্র ১ সেন্টিমিটার। বর্তমানে পানির লেভের ৭.৯০ মিটার। এখানে বিপদ সীমার লেভেল ৮.৬৫ মিটার।
এদিকে পদ্মা নদীতে প্রচন্ড পানি বৃদ্ধির কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটের দৌলতদিয়া ঘাটের ৩ ও ৭ নং ফেরী ঘাটের পল্টুনের র্যাম ডুবে গেছে। এতে করে ঐ ঘাট দুটি দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। ৭টি ফেরী ঘাটের মধ্যে বর্তমানে ৪, ৫ ও ৬ নং ঘাট চালু রয়েছে। এছাড়া ১ ও ২নং ঘাট দুটিও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে।
কয়েকজন যানবাহন চালক ও ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, দৌলতদিয়ার ৩নং ঘাটে প্রচন্ড স্রোত লাগে বলে সেখানে অনেক ফেরী ভিড়তে পারে না। সে জন্য রো-রো(বড়) পল্টুনটি সরিয়ে সবচেয়ে নিরাপদ ৭নং ঘাটে নেয়া হলে এবং ৭নং ঘাটের ইউটিলিটি(ছোট) পল্টুনটি সরিয়ে ৩নং ঘাটে স্থানান্তর করা হলে যাত্রী ও যানবাহন পারাবারে অধিক কার্যকর হতো।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট শাখা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মোঃ শিহাব উদ্দিন জানান, পদ্মায় পানি বেড়ে গিয়ে সোমবার ৩ ও ৭নং ফেরী ঘাটের র্যাম ডুবে যায়। ফলে ঝুঁকি এড়াতে ঘাট দুটি দিয়ে যানবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মাত্র তিনটি ঘাট চালু থাকলেও লকডাউন জনিত কারণে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় খুব একটা বেগ পেতে হচ্ছে না।
বিআইডব্লি¬উটিসি’র আরিচা অঞ্চলের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক(মেরিন) আব্দুস সাত্তার জানান, দৌলতদিয়ায় ডুবে যাওয়া ঘাটের র্যাম দুটি লো-ওয়াটার লেভেলে ছিল। ওগুলো তুলে মিড-ওয়াটার লেভেলে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আরো ২/৩ দিন সময় লাগতে পারে।
তিনি আরো জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া দৌলতদিয়ার ৬ নং ফেরী ঘাটটি গত রবিবার নতুন করে চালু করা হয়েছে। এছাড়া ৫নং ঘাটের ক্ষতিগ্রস্ত র্যাম পাল্টে গত সোমবার সেখানে নতুন একটি র্যাম স্থাপন করা হয়েছে।