॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে হাসপাতালের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট মনোয়ার হোসেন জনি(৩৫)।
গত ১৪ই এপ্রিল দিনগত রাত ৮টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথা, হাত ও পা জখম হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, মুখোশ পরিহিত ১০/১৫ জনের দুর্বৃত্তদল অতর্কিতভাবে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে গিয়ে জরুরী বিভাগের টেবিল ও সিকিউরিটি গ্লাস তছনছ করে এবং সেখানে অবস্থানরত মনোয়ার হোসেন জনির উপর হামলা চালায়। এ সময় জরুরী বিভাগের দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পাংশা মডেল থানা পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যায়। তবে এ ঘটনার নেপথ্য উদঘাটন হয় নাই।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসানাত আল মতিন বলেন, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে আতংক সৃষ্টি করে জরুরী বিভাগের টেবিল ও সিকিউরিটি গ্লাস ভেঙ্গে তছনছ করে এবং সেখানে অবস্থানরত মনোয়ার হোসেন জনির উপর হামলা চালায়।
তিনি জানান, হাসপাতালে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গতকাল ১৫ই এপ্রিল বিকেলে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মাদ শাহাদাত হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাই। তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, পাংশা হাসপাতালের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট মনোয়ার হোসেন জনির বিরুদ্ধে পাংশা মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় তাকে নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা রয়েছে। উক্ত মামলায় আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন তিনি। হাসপাতালের পাশেই তার বাড়ী। বরখাস্তকৃত মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট মনোয়ার হোসেন জনি বুধবার রাতে কেনো হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গিয়েছিলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।