॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের প্রথম ও দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপালগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচা ভবনে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার শুভানুধ্যায়ীরা এতে অংশ নেন। গোপালগঞ্জ শহরে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আজ তাকে দাফন করা হবে।
গতকাল ২৪শে সকাল পৌনে ৬টার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের পারিবারিক সূত্র জানায়, তাকে গত ২১শে ফেব্রুয়ারী বিএসএমএমইউ এর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে(আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১লা ফেব্রুয়ারী খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর নিমোনিয়াসহ আরও নানা সমস্যা ধরা পড়ে। পরে সেখান থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ১৯৪১ সালের ৪ঠা জুলাই গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৬৩ সালে ব্যাংকিং পেশায় যুক্ত হন।
ইব্রাহিম খালেদ ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ১৯৯৬ সালে অগ্রণী ব্যাংক এবং ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
তিনি ২০২০ সালের ৯ই ডিসেম্বর থেকে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০১১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।