সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রাজবাড়ী জেলায় যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। দুর্গাপূজার সাথে মিশে আছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শারদীয় দুর্গাপূজা সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য আনন্দময় হয়ে উঠুক; ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধন আরো সুসংসহ হোক এ কামনা করি।
করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ জনিত কারণে এ বছর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনকালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে। আসন্ন শীতকালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সকলে সচেতন হবো এই প্রত্যাশা রাখছি।
মানবতাই ধর্মের শাশ্বত বাণী। ধর্ম মানুষকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে, অন্যায় ও মন্দ থেকে দূরে রাখে এবং শান্তির পথ দেখায়। তাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি এ সময়ে আমরা দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো। শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের মধ্যদিয়ে আবহমানকাল বাঙালী সংস্কৃতিতে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির শক্তিকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সচেষ্ট হবো এ আশাবাদ ব্যক্ত করি। সবাইকে জেলা প্রশাসন, রাজবাড়ীর পক্ষ থেকে জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা।
দিলসাদ বেগম
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী।