॥সোহেল মিয়া॥ করোনার হিংস্র থাবা থেকে এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সারা বিশ্ব। এরই মধ্যে আবার নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে অনেক দেশেই। করোনার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সবার মধ্যেই এক ধরনের ভীতির সৃষ্টি হয়। যার কারণে করোনা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সেই সময়ে সবাই মাস্ক ব্যবহার করতেন এবং সরকার নির্দেশিত সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার চেষ্টা করতেন।
কিন্তু দীর্ঘ সময় পর এখন আর কেউ মাস্ক ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মাস্ক ব্যবহারে সবচেয়ে বেশী অনীহা রয়েছে। বিভিন্ন মার্কেট, বিপনী বিতান ও চায়ের দোকানে দেখা যায়, মাস্ক ব্যবহার করা তো দূরের কথা, সামাজিক দূরত্বও কেউ মানছে না। সরেজমিনে বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু করোনা প্রতিরোধে এখনও তেমন কার্যকরী ওষুধ আবিস্কার হয়নি, সেহেতু এই মুহূর্তে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করার বিকল্প কিছু নেই। সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে সকলকে কাজ করতে হবে।
বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের একাধিক বাসিন্দার সাথে কথা বললে তারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। কেউ বলছেন সমস্যা নেই, মাস্ক ব্যবহার না করলেও আমাদের করোনা ধরবে না। আবার কেউ বলছেন-আসলে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু আমরা খামখেয়ালীর জন্য এটা ব্যবহার করি না।
বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাফিন জব্বার বলেন, আপাতত এই মুহূর্তে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প কিছু নেই। করোনা থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। ঘন ঘন হাত ধোয়াসহ সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে হবে। সেই সাথে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যখন যে নির্দেশ দিবেন তখন সেটা অবশ্যই সকলকে পালন করতে হবে।