॥স্টাফ রিপোর্টার॥ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, সারা বিশ্ব কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। শুরু থেকে যারা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেটাকে স্বীকৃতি দেবে না সেটাকে আমরা কখনো গ্রহণ করবো না। বাংলাদেশ ভ্যাকসিনের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।
গতকাল ৭ই অক্টোবর বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল সভায় সভাপতি হিসেবে যোগ দেন। মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এতে অংশগ্রহণ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুন মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিটে ভিডিও বার্তায় গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন এন্ড ইমিউনাইজেশনের (জিএবিআই) পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য দেশ হিসেবে ঘোষণার যে আবেদন করেছেন তারা তা গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভ্যাকসিন কেনার জন্য সরকার ভ্যাকসিন ইমার্জেন্সি রেসপন্স এন্ড ফিটনেস প্রোগ্রামের আওতায় ৬০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছে। কোন কারণে যদি ফরেন কারেন্সি নাও পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে বাজেট থেকে সার্বিক ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিক-নির্দেশনার আলোকে সম্ভাব্য সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, সারাবিশ্বে কম্পিটিশন চলছে। বাংলাদেশ সরকার বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ নষ্ট করছে একথা ঠিক নয়। বিনা পয়সায় পাওয়ার সুযোগ দৃশ্যত আমাদের নেই। তবে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন পাবে বলে মন্ত্রিসভা আশাবাদী।