॥আবুল হোসেন॥ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজরাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৬টি ফেরী ঘাটের মধ্যে ১ ও ২নং ঘাট দু’টি প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
গত বছর ফেরী ঘাট দু’টির কিছু অংশ নদীতে ভেঙ্গে গেলে কর্তৃপক্ষ বালুর বস্তা ও খোয়া ফেলে সংস্কার করলেও এখন পর্যন্ত ঘাট দু’টি অচল হয়ে রয়েছে।
গতকাল ৮ই জুলাই সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, ১নং ফেরী ঘাটে বালুর বস্তা ও খোয়া ফেলে সংস্কার করে পন্টুনের র্যাম উঁচু করে ঘাটে বেঁধে রাখা হয়েছে। রাস্তার উপর স্থানীয়রা বিভিন্ন কাজ করছে। ২নং ফেরী ঘাটে বেসরকারী বিভিন্ন কোম্পানীর সিমেন্ট বোঝাই কার্গো পণ্য আনলোড করছে। গত বছরের বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত ঘাট দু’টি সচল করা হয়নি। বাকী ৪টি ঘাটে ফেরী ভিড়ছে। কিন্তু ২টি ঘাট বন্ধ থাকার কারণে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরীগুলোকে ঘাট ফাঁকা পেতে সময় লাগছে। ৬নং ফেরী ঘাটে ছোট ফেরীগুলোকে আনলোডের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। অথচ পুরাতন ফেরী ঘাট ২টি চালু না করে নতুন আরেকটি ফেরী ঘাট নির্মাণের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহ্ আলম বলেন, বর্তমানে ফেরীর সংখ্যা কম-তাই ঘাট ২টি ব্যবহার করা হচ্ছে না। বন্যা বা নদী ভাঙ্গনে কোন ঘাট বন্ধ হয়ে গেলে বিকল্প হিসেবে ৭নং ঘাটটি নতুন করে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, গত বছর নদী ভাঙ্গনের পর থেকে ১নং ফেরী ঘাটটি অকেজো হয়ে বন্ধ রয়েছে। ২নং ঘাটটি লো-ওয়াটার ফেরী ঘাট। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সেটি বন্ধ রয়েছে। বাকী ৪টি ফেরী ঘাট সচল রয়েছে। বর্তমানে এই নৌ-রুটে(দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া) ছোট-বড় ১৫টি ফেরী চলাচল করছে।