॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ গতকাল ১১ই অক্টোবর সকালে নদী ভাঙন কবলিত দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরী ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব উল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ তাজুল ইসলাম, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম(বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ আশেক হাসান, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু, গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক(তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম মন্ডল, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরী ঘাট পরিদর্শন শেষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, দৌলতদিয়ার ঘাটগুলো রক্ষার ব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ঘাটগুলো রক্ষা করা না গেলে অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরও দৌলতদিয়ার ঘাটগুলো সচল থাকবে। এছাড়া দৌলতদিয়া নৌ-বন্দরের আধুনিকায়ন করার জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ঘাটের ৪কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সিসি ব্লক দিয়ে স্থায়ীভাবে ভাঙন থেকে রক্ষা করার ব্যাপারে সরকারী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, পদ্মা নদীতে তীব্র ¯্রােত ও ভাঙনের কারণে এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে ফেরী ঘাটে যানবাহন পারাপার বিঘিœত হওয়ার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ৬দিন পুরোপুরি বন্ধ থাকার পর গত ১০ই অক্টোবর সকাল থেকে কিছু সংখ্যক লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
অপরদিকে ৬টি ফেরী ঘাটের মধ্যে বন্ধ থাকা ২টি ফেরী ঘাট বাদে অন্য ৪টি ঘাট দিয়ে কিছু সংখ্যক ফেরী চলাচল করছে। গতকাল শুক্রবার এই নৌরুটে ১২টি ফেরী ও ১০টি লঞ্চ চলাচল করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল ১১ই অক্টোবর দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার নদীর পানি অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু নদীর তীব্র ¯্রােতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ১ ও ২ নং ফেরী ঘাট এলাকায় বড় বড় চাপ ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়। নদীর পাড়ে ভাঙন দেখতে আসা শত শত উৎসুক মানুষের ভীড়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা অব্যাহত আছে।