॥এম.এইচ আক্কাছ॥ নদীতে তীব্র স্রোত ও ঘাট এলাকায় ভাঙনের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটের লঞ্চ চলাচল ২য় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে।
কোনরকমে ফেরী চলাচল করলেও যানবাহন ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রাখতে পারছে না। ফলে সবসময়ই দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের সিরিয়াল থাকছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে অগণিত যাত্রী ও যানবাহনের চালক-শ্রমিকরা। ভাঙনের শিকার হয়ে ঘাট এলাকার শতাধিক পরিবার তাদের বাড়ী-ঘর সরিয়ে নিয়েছে।
গতকাল ৫ই অক্টোবর সন্ধ্যায় সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা ২দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরীতে নদী পার হতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া ফেরীগুলোও অত্যধিক স্রোতের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পারায় ইঞ্জিন দুর্বল ফেরীগুলো বসিয়ে রাখা হয়েছে। স্বল্প সংখ্যাক ফেরী চলাচল করায় মহাসড়কে আটকে আছে শত শত যানবাহন। চলাচলরত ফেরীতে যাত্রী ও ছোট ছোট যানবাহন পার করা হচ্ছে। বর্তমানে দৌলতদিয়ার ৬টি ফেরী ঘাটের মধ্যে ২টি ঘাট ভাঙনের কারণে বন্ধ রয়েছে। বাকী ৪টি ঘাট দিয়ে কোনরকমে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাট ছেড়ে আসা ফেরী দৌলতদিয়া ঘাটে ভিড়তে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লেগে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, তীব্র স্রোতের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পারায় এই রুটে মাত্র ৬টি ফেরী চালানো হচ্ছে। বাকী ফেরীগুলোকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ফেরীগুলোর পারাপার হতে দুই ঘন্টারও বেশী সময় লাগছে। এতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট এলাকার অনেকে বলেন, এই এলাকার ভাঙন এতই তীব্র হয়েছে যে কারণে মুহূর্তের মধ্যে বসতবাড়ী নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড যে বালুর বস্তা ফেলছে তা তেমন কোন কাজেই আসছে না। পূর্বে ফেলা বালুভর্তি জিও ব্যাগ আগেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দৌলতদিয়া ফেরীঘাটের সবগুলো ঘাটই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।