॥স্টাফ রিপোর্টার॥ “চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী” এটি শুধু প্রবাদ বাক্যই নয়। এটি একটি চিরন্তর সত্য বানীও। পাঠক, সাইন বোর্ডের লেখাটি লক্ষ্য করুন। তাতে লেখা রয়েছে এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলানো নিষেধ। এ নিষেধ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাজবাড়ী পৌরসভা। কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। সাইন বোর্ড টানানো আছে ঠিকই। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
বলছিলাম রাজবাড়ী রেলস্টেশন ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সংলগ্ন রেলওয়ের লেকটির কথা। অবাধে প্রতিদিন সেখানে ফেলানো হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। আর এ আবর্জনা ফেলানোর ফলে সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধ। সেটি ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। এ দুর্গন্ধে পথচারীরা যেমন দূর্ভোগে পড়ছেন তেমনি আবর্জনায় ভরাট হয়ে অবৈধ দখল হয়ে যাচ্ছে রেলওয়ের এ লেকটি। অথচ প্রতিবছর লেকটি শোভাবর্ধণের দাবীতে প্রতিবাদ স্বরূপ হারিয়ে যাওয়া ঐহিত্যবাহী গ্রামীণ ভেলাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ডাঃ কামরুল হাসান লালী ও ডাঃ রেহেনা বেগম নামে একটি ফাউন্ডেশন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত হাজার হাজার দর্শক আসেন ওই ভেলাবাইচ প্রতিযোগিতাটি দেখতে। মানুষের উপচে পড়া ভীড়ে লেকের চারপাশ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। প্রতি বছরই আয়োজকদের শোভাবর্ধণের আশ্বাস দেন জনপ্রতিনিধিসহ সরকারী কর্মকর্তারা। কিন্তু সেই আশ^াস শুধু আশ^াসই থেকে গেছে। শোভাবর্ধণ তো দূরের কথা ময়লা আবর্জনা ফেলে দিন দিন অবৈধ দখল হয়ে যাচ্ছে লেকটি। অথচ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা যদি একটু উদ্যোগ নেন তাহলে এই লেকটি হতে শহরের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন স্থান। এমন প্রত্যাশা শহরবাসীর।