॥মইনুল হক মৃধা॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে যৌনকর্মী মায়েদের কাছে বেড়াতে এসে ধর্ষণের ও ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে ২জন কন্যা শিশু।
গত ২২শে ডিসেম্বর বিকালে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩জন লম্পটকে আটক করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
এ ঘটনায় এক শিশুর মা ও আরেক শিশুর মামা বাদী হয়ে ধর্ষণের ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ২টি মামলা দায়ের করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ঃ দৌলতদিয়া ইউনিয়নের হোসেন মন্ডলের পাড়ার ইসলাম প্রামানিকের ছেলে জীবন প্রামানিক(২৮), একই গ্রামের মোহন মন্ডলের ছেলে ইউসুফ মন্ডল(২৭) এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার গোপালদী মোল্লা পাড়া গ্রামের মালেক মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা(২৮)।
জানা গেছে, ধর্ষণের ও ধর্ষণ চেষ্টায় দুই শিশুই ফরিদপুরের একটি সেফ হোমে থেকে ৫ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। মাঝে-মধ্যে তারা দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে তাদের মায়েদের কাছে বেড়াতে আসে। গত ২২শে ডিসেম্বর বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তারা পতিতাপল্লীর অভ্যন্তরের একটি দোকান থেকে আচার কিনে নিজেদের মায়েদের ঘরে ফিরছিল। এ সময় উল্লেখিত ৩জন লম্পট তাদেরকে জোর করে পতিাপল্লীর খিচুড়ী পট্টি এলাকার টোকাই মোল্লার ফাঁকা বাড়ীর ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর জীবন প্রামানিক একটি কিশোরীকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অপর কিশোরীকে একটি কক্ষে নিয়ে ইউসুফ ও সোহেল ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন নিপীড়ন করতে থাকে। শিশু ২টির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়ীর মধ্যে ঢুকে তাদেরকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত ৩জন লম্পটকে আটক করে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর জানান গ্রেফতারকৃত ৩জন লম্পটকে গতকাল বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া ভিকটিম শিশুদের ডাক্তারী পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।