॥মইনুল হক মৃধা॥ মহামারি করোনার কারণে ৯দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে গোয়ালন্দ বাজারে অনেকটা আগের মতই বের হয়েছে মানুষ। তাদের কারো মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা দেখা যায়নি।
গতকাল বুধবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে লকডাউন উপেক্ষা করে মানুষের অবাধ চলাচল। এসব মানুষদের মধ্যে বেশীর ভাগেরই মুখে নেই মাস্ক ও হাতে নেই হ্যান্ড গ্লাভস। কেউবা সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার করছে না, থুতনিতে নামিয়ে রাখছে, কেউবা আবার পুলিশ, প্রশাসন দেখে পকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে লাগাচ্ছে। বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল। মানুষের চলাচলও ছিল আগের চেয়ে কম।
অন্যদিকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের কোন যানবাহন ছেড়ে যেতে দেখা না গেলেও শহরসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে একাধিক যাত্রী নিয়ে অবাধে চলাচল করছে রিক্সা, ইজিবাইক, ভ্যান, থ্রি-হুইলার, ভ্যান, মোটর সাইকেলসহ ব্যক্তিগত বাহন। লকডাউনের মধ্যে যারা বাইরে ঘোরাফেরা করছে তাদের ঘরে ফেরাতে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলছে। তবে খুব একটা কাজে আসছে না। অভিযানের সম্মুখ পড়লেই বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন বাইরে বের হাওয়া মানুষ।
এক রিক্সায় উঠেছে তিন যাত্রী তাদেরই একজন আনিছুর রহমান তিনি বলেন, লকডাউন তাই রাতে ঢাকা থেকে এসেছি। এক পরিবারের ৩জন, তাই একসাথে বাড়ি ফিরছি রিক্সায় করে।
শহরে বের হওয়া সুমন মাহমুদ জানান, শরীর খারাপ তাই স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছিলাম। লকডাউন জানি কিন্তু কি করবো ডাক্তারতো দেখাতেই হবে।
ইজিবাইক চালক কিয়ামউদ্দিন একাধিক যাত্রী উঠিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই ভুল হয়ে গেছে, এমনটি আর কখনও হবে না।
লকডাউন মনিটরিংয়ের জন্য বের হওয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গোয়ালন্দ শহরের প্রতিটি মোড়ে, হাটে-বাজারে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান ও তদারকি চলছে। দ্বিতীয় দিনে সকালের দিকে কিছু মানুষ হয়তো অসচেতন ছিল। আমরা চেষ্টা করছি সকলকেই ঘরে রাখার জন্য।