॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাগমারা-জৌকুড়া সাড়ে ৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ দীর্ঘ ৩বছরেও শেষ না হওয়ার চন্দনী ও মিজানপুর ইউনিয়নবাসী গতকাল ২৮শে অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত করেছে।
জৌকুড়া বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে দয়ালনগর গ্রামের জব্বারের দোকানের সামনে মানববন্ধনে মিলিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক কাউসার আল ফেরদৌস, চন্দনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রব, মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজম মন্ডল, চন্দনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, ইউপি সদস্য ফয়সাল আহমেদ চান্দু, মিজানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোশাররফ শিকদার ও শফিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, প্রায় সাড়ে ৬কিলোমিটারের সড়কটি দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম সহজ একটি সড়ক। বেহালদশায় পতিত হওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসপেক্টা ইঞ্জিনিয়ার্স ও ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড সড়কটি সংস্কারের কাজ পায়। কিন্তু ৩বছর অতিবাহিত হলেও তারা নানা অজুহাতে সড়কটির অর্ধেক কাজ করে আর কোন কাজ করছে না। উপরন্তু গত প্রায় ৪ মাস হলো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সড়কটি দিয়ে যাতে কোন যানবাহন চলাচল না করতে পারে সে জন্য সড়কটির মাঝখানে ভেকু ও রোলার দিয়ে আটকে রেখেছে। এর ফলে কোন যানবাহন, এমনকি রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্সও চলতে পারছে না। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে আঞ্চলিক মহাসড়কটির ৪.২৭ মিটার থেকে ৮.৫ মিটার প্রশস্ত করণের কাজ ২৯ কোটি ১৭লক্ষ টাকা চুক্তিমূল্যে যৌথভাবে শুরু করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসপেক্টা ইঞ্জিনিয়ার্স ও ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। সড়কটির নির্মাণ কাজের সময়সীমা ছিল ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় আরো দুই দফায় বাড়ানো হয় কাজের মেয়াদ। সেই সাথে চুক্তিমূল্যও ২৯ কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ কোটিতে। এরপরও এখনো সড়কটির ৪০ ভাগ কাজ অসম্পন্ন রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
অথচ এই সড়কটি দিয়েই জৌকুড়া ফেরী ঘাট হয়ে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলার মানুষ বাসে যাতায়াত করতো। সড়কটির বেহাল দশার কারণে বর্তমানে এসব অঞ্চলের দুরপাল্লার বাসসহ স্থানীয় লোকাল বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
সড়কটির উন্নয়ন কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে খালাখন্দ ও কাদা তৈরী হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আবার শুকনা মৌসুমে সৃষ্টি হয় ধুলাবালি। এমন পরিস্থিতিতে চলাচল তো দূরের কথা সড়কটির আশেপাশের বাড়ীতে বসবাস করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।