॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম মন্ডলের বাড়ীতে গত ৯ই সেপ্টেম্বর দুপুরে দীর্ঘ সময় ধরে হয়রানীমূলক পুলিশী তল্লাশীর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
গতকাল ১০ই সেপ্টেম্বর দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ।
এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব নুরুজ্জামান মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্থগিত থাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা মুন্সী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলজার হোসেন মৃধা, সহ-সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী মোল্লা, আমজাদ হোসেন ফকির, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন রনি ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে গত ৯ই সেপ্টেম্বর দুপুরে নজরুল মন্ডলের বাড়ীতে পুলিশী তল্লাশীর প্রতিবাদ জানানোসহ তল্লাশী অভিযানে নেতৃত্বদানকারী গোয়ালন্দ ঘাট থানার বিদায়ী ওসি মোঃ আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ করে বলা হয়, দৌলতদিয়া ঘাটে ওসি’র নেতৃত্বে ফলের ট্রাক, গরুর ট্রাকসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজীসহ নানা ধরণের অনৈতিক কাজের পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা পার্টির সন্ত্রাসীদের দিয়ে ঘাট থেকে অবৈধ পন্থায় অর্থ আদায় করা হচ্ছে। নজরুল মন্ডল বিগত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। এবারও তিনি সম্ভাব্য প্রার্থী। তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই ওসি তল্লাশীর নামে হয়রানী করেছে। বিপ্লব ঘোষের পাঠ করা লিখিত বক্তব্যের শেষে সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলেও কোন প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ওসি আশিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে আমি নজরুল মন্ডলের বাসায় ফোর্সসহ গিয়ে তার বৈধ অস্ত্র, গুলি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিষয়ে যাচাই করি। কিন্তু নজরুল মন্ডল অস্ত্রের কাগজপত্র দেখাতে দেরী করায় তল্লাশী কাজে বিলম্ব হয়। পরে অবশ্য কাগজপত্র, অস্ত্র ও গুলি প্রদর্শন করলেও অনুমোদিত ৫০টি গুলির মধ্যে ৩টি গুলি কম পাওয়া যায়। যার সঠিক ব্যাখ্যা সে দিতে না পেরে সুযোগ বুঝে বাড়ীর পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ৮ মাস আগে গোয়ালন্দে যোগ দেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এতদিন আমার বিরুদ্ধে কেন কোন পদক্ষেপ নেননি? মূলতঃ তারা বিশেষ মহলের ইন্ধনে এবং নজরুল মন্ডলের নানা অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমি বদলী হওয়ার কারণে গত ৯ই সেপ্টেম্বর বিকালেই থানার দায়িত্ব পরিদর্শক(তদন্ত) এর উপর ন্যস্ত করেছি।