॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রাধাগঞ্জ মুরারীপুর গ্রামে গর্ভধারিনী মায়ের বিরুদ্ধে ১বছরের শিশু কন্যাকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা আলমগীর হোসেন(৩৯) হোসেন বাদী হয়ে স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন ওরফে সুমি ওরফে হনুফা(৩০) এর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ গতকাল ৮ই জুলাই বিকালে অভিযুক্ত হনুফাকে গ্রেফতার করেছে।
থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালে রাঁধাগঞ্জ মুরারীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের কন্যা হনুফার সাথে কুষ্টিয়ার কুমরাখালী উপজেলার লাহিনী পাড়া গ্রামের শেখ আক্কাছ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুরাইয়া নামে তাদের ১টি কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ার পর ঘর জামাই থাকাকে কেন্দ্র করে আলমগীরের সাথে হনুফার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে হনুফা সন্তান নিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করতে থাকে। গত ৬ মাস যাবৎ আলমগীর হোসেন শ্বশুর বাড়ীতে আসা-যাওয়া না করলেও বিকাশে স্ত্রী-সন্তানদের ভরণ পোষণের খরচ দিয়ে আসছিল। তা সত্ত্বেও এই দাম্পত্য অশান্তির জেরে গত ৭ই জুলাই বেলা ১১টার দিকে হনুফা একই এলাকার(পিত্রালয়ের) মজিদ শেখের পুকুরের পানিতে মেয়েকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। মেয়ে ও নাতনিকে অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে হনুফার মা রওশনারা খোঁজ-খবর করতে করতে ওই পুকুরের উত্তর পাড়ের পানিতে নাতি সুরাইয়ার মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে আলমগীর হোসেন শ্বশুর বাড়ীতে এসে মেয়েকে মৃত ও স্ত্রীকে পলাতক দেখতে পায়। পরে সে বাদী হয়ে স্ত্রী হনুফাকে আসামী করে রাজবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে(রাজবাড়ী থানার মামলা নং-১১, তাং-০৮/০৭/২০২০ইং, ধারাঃ ৩০২ দঃ বিঃ)। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল ৮ই জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার কালীচরণপুর এলাকা থেকে সুমাইয়া বেগম ওরফে সুমি ওরফে হনুফাকে গ্রেফতার করে।