॥স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ৩১শে মার্চ সকাল ১০টায় গণভবন থেকে করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও প্রাদুর্ভাবজনিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হন।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখা থেকে গত ২৯শে মার্চ উপ-সচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত পত্র সকল জেলা প্রশাসককে পত্র দেয়া হয়।
ওই পত্রের নির্দেশনামতে স্থানীয় সদর আসনের সংসদ সদস্য, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, পৌর মেয়র, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা তথ্য অফিসারকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
কিন্তু রাজবাড়ী রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। ভিডিও কনফারেন্সের সাথে সংশ্লিষ্ট নন এমন অনেকে আমন্ত্রণ ছাড়াই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফলে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বিবেচনায় সামাজিক দূরত্ব লংঘন হওয়ায় এ সময় অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য, ভিডিও কনফারেন্সে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম-বার, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মেজর ইমরান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ দীপক কুমার বিশ্বাস, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সভাপতি ফকীর আব্দুল জব্বার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার(আরএমও) ডাঃ শাহরিমা নার্গিস, জেলা তথ্য অফিসার তাহমিনা আক্তার, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকরাম হোসেন, ডিজিএফআই’র প্রতিনিধি সার্জেন্ট মোঃ ওহিদুজ্জামান, ভান্ডারিয়া মাদ্রাসা কম্পিউটার শিক্ষক মোঃ এনায়েতুন হাসলাইন রওশন, পৌরসভার কর্মচারী মোঃ সাইদুজ্জামান লিটনসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও ৯/১০জন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মতে সদর আসনের সংসদ সদস্য, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, পৌর মেয়র, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা তথ্য অফিসারকে উপস্থিত থাকার জন্য পত্র দেওয়া হয়েছিল কিন্তু অন্যরা কিভাবে সেখানে প্রবেশ করেছে তা তার জানা নেই।